মেথি
মেথির উপকারিতা
ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ এবং হৃদরোগে আক্রান্তদের
জন্যে এই বীজ বেশ উপকারী। স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে মেথির উপকারী দিকগুলা
তুলে ধরা হয়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: প্রাকৃতিক আঁশে ভরপুর
মেথি খাওয়ার পর তা পেটে গিয়ে ফুলে যায়। আর এই আঁশ হজমে সময় নেয় আর তাই ক্ষুদা কম
অনুভূত হয়। এ প্রক্রিয়ায় ওজন কমাতে সহায়তা করে মেথি।
জ্বর ও গলাব্যথার প্রতিষেধক: লেবু আর মধুর
সঙ্গে মেথি বীজ সেবন করলে তা জ্বর ও ঠাণ্ডায় বেশ উপকারী। এতে রয়েছে বৃক্ষজ
আঠাজাতীয় উপাদান আর এতে এক ধরনের ভেষজ উপাদান থাকে যা গলা ব্যথা উপশমে সহায়তা করে।
চুল পড়ার সমস্যা সমাধানে: মেথি চুলের গোড়া
মজবুত করতে সহায়তা করে। খাদ্যতালিকায় রাখা হোক বা চুলে প্যাক হিসেবে ব্যবহার, দুভাবেই উপকার পাওয়া যাবে। মেথি বীজ সিদ্ধ করে সারা রাত নারিকেল তেলে
ভিজিয়ে সকালে চুলে মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়।
হজমে সহায়ক: হজমে সমস্যা এবং বুক জ্বালাপোড়া
ইত্যাদি সমস্যা সমাধানে সহায়ক মেথি। মেথি আঁশ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর যা
হজমে সহায়তা করে এবং পেটে জমে থাকা ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।
সারারাত মেথি ভিজিয়ে রেখে ওই পানি পান করলেও উপকার পাওয়া যাবে।
রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে: রক্তে গ্লুকোজের
পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে মেথি। এতে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড যা ইন্সুলিনের
মাত্রা বাড়ায় যা গ্লুকোজের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে: মেথি ত্বকের বয়সের
ঝাপ দূর করতে, ব্রণের সমস্যা কমাতে এবং কালো দাগ
কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া ত্বকের পোড়াভাব দূর করে উজ্জ্বলতা ফেরাতেও সহায়তা করে
এই বীজ।
খুশকি প্রতিরোধে সহায়ক: শীত-মৌসুমে মাথার ত্বক
শুষ্ক হয়ে খুশকির সমস্যা বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে সারারাত মেথি পানিতে ভিজিয়ে রেখে
পানি ছেঁকে ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করে মাথার ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে
ধুয়ে ফেলুন। চাইলে এই পেস্টের সঙ্গে খানিকটা টক দইও মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
তেজ পাতার উপকারিতা
তেজপাতা সুগন্ধি মসলা। কাঁচা পাতার রং সবুজ আর
শুকনো পাতার রং বাদামি। এটি শুধু মসলা হিসেবেই পরিচিত নয়, এর অনেক ঔষধি গুণও আছে। সাধারণত রান্নায় স্বাদ ও সুগন্ধ আনতে তেজপাতা
ব্যবহার করা হয় বলেই আমরা জানি। কিন্তু তেজপাতা শুধু রান্নাতেই জাদু আনে না,
শরীরের নানা রোগ সারিয়ে তুলতে তেজপাতার গুণাগুন যে অসাধারন তা
হয়তো অনেকেরই অজানা। সুগন্ধ বাড়ানোর ছাড়াও এই খাদ্য উপাদানটির যে আরো অনেক গুণ
রয়েছে, সেটি আমরা কয়জনেই বা জানি।
১. অনেক সময় অনেকের ঘন ঘন তেষ্টা পায়।
সেক্ষেত্রে ১ লিটার পানিতে তেজপাতা সেদ্ধ করে ছেঁকে নিয়ে ২-৩ বার খান। দেখবেন বার
বার তেষ্টা পাচ্ছে না।
২. হালকা গড়নের মানুষের জন্যে তেজপাতা খুব
উপকারী। চেহারা ফিরিয়ে আনতে তেজপাতা কুচিয়ে, থেঁতো
করে ২কাপ গরম পানিতে ১০-১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে এরপর ছেঁকে নিয়ে ২ বার করে ২ সপ্তাহ
খেলে শরীরে জোর আসে, লাবণ্য ফিরে আসে।
৩. চর্মরোগ হলে তেজপাতা থেঁতো করে ৪ কাপ
পানিতে সেদ্ধ করে সকাল ও বিকেলে খেতে হবে। ৪-৫ সপ্তাহ খেলেই দাদ-হাজা-চুলকানি সেরে
যাবে। এছাড়া ওই পানি তুলা ভিজিয়ে দাদের জায়গা মুছে নিলেও কাজ হয়।
৪. অনেক সময় প্রস্রাবের রঙ লালচে হয়। সেক্ষেত্রে
তেজপাতা ২-৩ কাপ গরম পানিতে ২ ঘন্টা ভিজিয়ে, এরপর
ছেঁকে ২-৩ ঘন্টা অন্তর অন্তর পান করলে প্রস্রাবের রঙ সাদা হয়ে যাবে।
৫. ত্বক পরিষ্কারে তেজপাতা খুব উপকারী।
তেজপাতাকে চন্দনের মতো বেটে, গোসলের আগে গায়ে মেখে
ঘন্টা খানেক রাখুন। এরপর গোসল করে নিন। দেখবেন ময়লা উঠে গেছে। এছাড়া যাদের গায়ে
দুর্গন্ধ থাকে, তাদের সেই সমস্যাও দুর হয়ে যায়।
৬. পানিতে তেজপাতা দিয়ে সিদ্ধ করে সেই পানি
দিয়ে গোসল করলে ত্বকের অ্যালার্জি সমস্যা কমবে।
৭. ফোঁড়া হলে যদি খুব যন্ত্রণা হয়, শক্ত হয়ে যায়, তবে এই অবস্থায় তেজপাতা বেটে
২-৩ বার প্রলেপ দিলে যন্ত্রণা কমে যাবে।
৮. যাঁদের অতিরিক্ত ঘাম হয়, তার প্রতিদিন ১ বার করে তেজপাতা বাটা মেখে আধ ঘন্টা থাকার পর গোসল করে
নিলে বেশি ঘাম হওয়া কমে যাবে। এইভাবে ৭ দিন করতে হবে।
৯. তেজপাতা পানিতে সেদ্ধ করে ওই পানি দিয়ে
কুলকুচি করলে মুখের অরুচি কেটে যায়।
১০.সর্দিতে গলা বুজে যায় অনেকেরই। সেই সময়
জোরে জোরে কথা বললে বা চিত্কার করলে গলা ভেঙে যায়। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে
তেজপাতা থেঁতো করে ৩-৪ বার একটু করে খেলেই হবে।
No comments :
Post a Comment